প্রকাশিত: Fri, Dec 29, 2023 12:36 AM
আপডেট: Wed, Jul 2, 2025 2:15 AM

[১]হিটলার ও নেতানিয়াহুর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই: এরদোগান


সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান এই মন্তব্য করে গাজায় ইসরায়েলি হামলাকে ইহুদিদের প্রতি নাৎসিদের আচরণের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সূত্র: রয়টার্স, আনাদোলু, আল-জাজিরা

[৩] এরদোগান বলেন, ইসরায়েলের গাজা হামলায় সমর্থনকারী পশ্চিমা দেশগুলোও যুদ্ধাপরাধ করছে। তারা হিটলারকে নিয়ে খারাপ কথা বলত। হিটলারের সঙ্গে আপনাদের পার্থক্য কী? এই নেতানিয়াহু কি হিটলারের চেয়ে কম করছেন? না কম করেননি।

[৪] তুর্কী প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তিনি (নেতানিয়াহু) হিটলারের চেয়েও ধনী, তিনি পশ্চিমাদের কাছ থেকে সমর্থন পান। সব ধরনের সহায়তা আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। আর এই ধরনের সহায়তা দিয়ে তারা কী করছে? তারা ২১ হাজারের বেশি গাজাবাসীকে হত্যা করেছে।’

[৫] এরদোগানের এ বক্তব্যের জবাবে ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায়  বলেছেন, ‘এরদোয়ান কুর্দিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছেন। সরকারের বিরোধিতাকারী সাংবাদিকদের কারারুদ্ধ করার বিশ্ব রেকর্ড করেছেন । সেই তিনিই আমাদেরকে এখন নৈতিকতার সবক দিচ্ছেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান

[১]গাজায় যুদ্ধ পরবর্তী শাসন নিয়ে আলোচনায় রাজি নন নেতানিয়াহু

সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] হামাসের সাথে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ও শাসনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

[৩] ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিনটি অনুরোধ জানানো হয়েছে। মোসাদের পরিচালক শিন বেতের পক্ষ থেকে এই অনুরোধগুলো জানানো হয়েছে। তাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিয়ে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, এসব অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

[৪] নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সময় ফুরিয়ে আসছে এবং গাজা ভিতরে এবং বাইরের সব প্রাসঙ্গিক কূশীলবের বিষয়ে কীভাবে কাজ করা যায় সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। আমেরিকানরা ব্যাখ্যা চায়।’

[৫] চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিজ অবস্থান রক্ষা করার জন্যে এই ধরনের আলোচনা বাতিল করে থাকতে পারেন। তার যুদ্ধকালীন ঐক্য সরকার সংঘাত শেষ হওয়ার পরে ভেঙে যাবে। গাজার জন্য যেকোনো সমাধানে ফিলিস্তিনি কূশীলব জড়িত থাকলে, যেমন পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রত্যাবর্তন করলে নেতানিয়াহুর সরকারের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলবে। সম্পাদনা: ইকবাল খান